বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, কলেজছাত্রী লিজা মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় লিজার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া সংখ্যা ও নাম উল্লেখ না করে লিজার শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। লিজার বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে মহানগরের শাহ মখদুম থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় তার মেয়েকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আলম মিয়া।
এ জন্য লিজার স্বামী সাখাওয়াতকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শ্বশুর মাহাবুব আলম খোকন ও শাশুড়ি নাজনীন বেগমকে আসামি করা হয়েছে। আর নাম ও সংখ্যা উল্লেখ না করে সাখাওয়াতের ভাই-বোন, ভগ্নিপতিসহ শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েজনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহ মখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বণী ইসরাইলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার এ চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রংপুরের গাইবান্ধা জেলার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে লিজার মরদেহ দাফন করা হয়।
বুধবার (০২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিজার মৃত্যু হয়। পরে দুপুরে লিজার ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের পর লিজার মরদেহ বুধবার রাতে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে লিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তার শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে কলেজছাত্রী লিজা টানা চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/