বলা হচ্ছে, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কথা। আগেকার সেই রাজপ্রথা না থাকলেও নিজের বানানো অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
রোববার (৬ অক্টোবর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটকের পর দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে সম্রাটকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর কাকরাইলের ভূইয়া ম্যানশনে। ১৫তলা ভবনটির চতুর্থ ও নবম তলা সম্রাটের একেবারেই নিজস্ব। এ দুই তলায় সম্রাটকে নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অভিযান ও তল্লাশি চালায় র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১ এর শীর্ষ পর্যায়ের একটি দল।
অভিযান, তল্লাশি ও সাংবাদিক ব্রিফিং শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে যখন ভবনটি থেকে বের করে আনা হচ্ছিল সম্রাটকে, তখনও বেশ নির্লিপ্ত ও খোশমেজাজেই দেখা যায় তাকে; অন্তত একজন সাধারণ দর্শনার্থী হিসেবে। মাথায় হেলমেট, শরীরে র্যাবের দেওয়া বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আর হাতে হাতকড়া থাকলেও নিজের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী দেখে বোধহয় খানিক সময়ের জন্য পুলক অনুভব করেছেন সম্রাট।
তবে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ছয় মাসের জেল মাথায় নিয়ে রাতেই সম্রাটের ঠাঁই হয়েছে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার। অপেক্ষা করছে মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলাও। এই হাসি কতক্ষণ থাকে, এখন সেটিই দেখায় অপেক্ষায় পুরো জাতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/একে