সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার টুটপাড়া কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের উপস্থিতিতে লিপনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই/তদন্ত) নাজিমউদ্দিনসহ খুলনা সদর থানার পুলিশের একটি টিমের সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি এমদাদুল হক লিপন ১৩ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে বেড়াতে বের হন। পরে তার তিন বন্ধু পরিবারকে জানান লিপন গাড়িসহ রূপগঞ্জ থানার ৩শ ফিট সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে নিহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যু হয়েছে জানালে তার বন্ধুরা মরদেহ অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সে হাসপাতাল থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু সনদ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নিহত এমদাদুল হক লিপনের মরদেহ খুলনায় দাফন করা হয়। কিন্তু মরদেহের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার না আসা এবং তিন বন্ধু কথায় সন্দেহ হলে পরিবারের পক্ষে নিহত বড় ভাই এনামুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৯ তাং ১৮/০৯/২০১৯ । এই মামলায় নিহত লিপনের তিন বন্ধু এহতেশাম কবীর ওরফে জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের নামোল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এরা সবাই খুলনা ও দৌলতপুরের বাসিন্দা হলেও ঢাকায় ব্যবসা ও চাকরির সঙ্গে জড়িত।
গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহতর মা আনোয়ারা আক্তার, বোন ফেরদৌসী নাহার ভাই এনামুল হক সাংবাদ সম্মেলন করে অনুরূপ হত্যা অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রশ্ন রাখেন, প্রাথমিকভাবে তাদের জানানো হয় লিপন গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অথচ ডোবা থেকে গাড়ি উদ্ধারের পর লিপনের মরদেহ পেছনে পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা হলে গাড়িতে থাকা চারজনেরই আহত হওয়ার কথা। অথচ বাকি তিনজনের শরীরে আহতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পানিতে ডুবে মারা গেলে পেট ফুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু লিপনের দেহে তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যু ১৫/১৬ ঘণ্টা পরেও তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এমআরএম/এএটি