সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে বুয়েটছাত্রের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন...
** বুয়েটছাত্র ফাহাদ হত্যা: জট খুলবে সিসিটিভি ফুটেজে
** বুয়েট ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য
তিনি আরও বলেন, আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয়েছে, ভোতা কোনো জিনিস যেমন- বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তিনি সুরতহালে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের কথা উল্লেখ করেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে মারধর করেন। পরে বুয়েটের চিকিৎসক মোহাম্মদ মাশরুক এলাহী ফাহাদকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ফাহাদের মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, আবরার কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে এসএসসি জিপিএ-৫ পেয়ে ঢাকা নটোরডেম কলেজে ভর্তি হয়। সেখান থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায়। পরে বুয়েটে ভর্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, ফাহাদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার বাব-মা এখনো ঢাকায় পৌঁছায়নি। তারা এলে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/