বাবলু মিয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের সালগ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাবলু ভাত খেতে বসেন।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বজনেরা বলেন, আমরা গরিব। দিনমজুর বাবলুর সঙ্গে আমাদের মেয়েটির বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানতাম না এর আগে তার আরও দুইটা স্ত্রী ছিল। চার বছর আগে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে বাবলু তার স্ত্রীকে মারধর করতো। অবশেষে চুল কেটে নেওয়ার মতো জঘন্য অপরাধ করেছে সে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি, যাতে করে আর কোনো নারীর এমন পরিণতি না হয়।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকর্তা দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিন বলেন, সভ্য সমাজে বসবাস করেও একটি নারীর প্রতি এমন অমানুষিক নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এই পাষণ্ড বাবলু মিয়ার আদিম পাশবিকতার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত জানান, বাবলু মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর হলেও এ পর্যন্ত তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীরা মোটামুটি সবাই তার কুকীর্তি জানেন। স্ত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদের কারণে এর আগে বহুবার তার বিচার সালিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন বলেন, খবর পেয়ে দুপুরে তার বাড়ি থেকে বাবলুকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করা হলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
আরএ