নিহত ফাহাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫তম ব্যাচের মূল অপরাধীরা সিসিটিভি ফুটেজে আসেনি। ভিডিওয়ে যাদের দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মী।
পড়ুন>>বুয়েটছাত্র ফাহাদ হত্যার সেই ভিডিও ফুটেজ
সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, কয়েকজন কোলে করে ফাহাদকে হলের বারান্দা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কালো টি-শার্ট পরা মুয়াজ (ইইই ১৭ তম ব্যাচ), ডানপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য জেমি ও তানিম (১৭তম ব্যাচ) রয়েছেন।
এরপরে ইফতি মোশাররফ সকাল (১৬ তম ব্যাচ), মাহমুদুর রহমান মাজেদ (এমএমই ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (মেকানিক্যাল ১৭ তম ব্যাচ), মুজাহিদ (১৬ তম ব্যাচ ইইই), তানভীর (মেকানিক্যাল ১৬তম ব্যাচ), রাফাদ ও তোহা ( মেকানিক্যাল ১৭তম ব্যাচ)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ঘটনায় ফুটেছে যাদের দেখা গেছে তারা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সিনিয়রদের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। মূল অপরাধীদের একে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে পুরো ঘটনার ফুটেজ দেখতে চেয়েছি কিন্তু আমাদের ফুটেজ দেখানো হয়নি।
এর আগে রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদকে মারধর করে হত্যা করা হয়। পরে সোমবার (০৭ অক্টোবর) হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
এদিকে ফাহাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকেরা জানান, মারধরের কারণে রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ নয়জনকে আটকের তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও সহ সভাপতি ফুয়াদ হোসেনও রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসকেবি/এমএ