মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ফাহাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রায়ডাঙ্গায় পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
ছেলের অকাল মৃত্যুতে আহাজারি করতে করতে ফাহাদের মা বলেন, আমার বেটা লাখে একটাও হয়না রে...।
ফাহাদের স্মৃতি আওড়াতে আওড়াতে রোকেয়া খাতুন জানান, তার ছেলে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চারটিতেই সুযোগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মেধা তালিকায় ১৩ নম্বরে ছিলেন। সরকারের কাছে ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের যথাযথ শাস্তির আর্জি জানান এ মা।
অপরদিকে ছেলের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহও। তার ছেলেকে কয়েকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে, এটি তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
সকাল ১০টার দিকে রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে ফাহাদের তৃতীয় ও শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফাহাদের মরদেহবাহী গাড়িটি কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় আল হেরা জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় নেওয়া হয়।
এদিকে ফাহাদের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এইচজে