ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
‘বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতা’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারত বিরোধিতা, সেটিকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। তবে এই পুরনো ট্যাবলেট আর কাজ করবে না।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বার্থে অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি করেছেন।

প্রত্যেকটি চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের স্বার্থ শুধু সংরক্ষণ-ই নয়, বরং ভারতের কাছ থেকে আমরা স্বার্থ আদায়ও করেছি।

‘সিঙ্গাপুর বন্দরকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর জন্য খুলে দেওয়ার কারণে সিঙ্গাপুর আজ সমৃদ্ধ দেশ হয়েছে’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যদি ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে আমাদের রয়েলিটি দিতে হবে। এই সহজ বিষয়টা বিএনপি নেতারা যে বুঝেন না, তা নয়, বুঝেন। কিন্তু এরপরও তারা বিরোধিতা করেই যাচ্ছেন।

কোস্টগার্ডের রাডার কেনার বিষয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে রাডার নিয়ে ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। ভারত ২০টি রাডার কেনার জন্য গ্র্যান্ট দেবে এবং এককালীন টাকা দেবে। যেটি আমাদের ফেরত দিতে হবে না। সেই গ্র্যান্ট থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২০টি রাডার কিনবে।

কোস্টগার্ডের ভালো রাডার সিস্টেম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের জাহাজ এসে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। ভারত থেকেও মাঝে-মধ্যে আসে, আসে না যে তা নয়। এই রাডার সিস্টেমের মালিকানা এবং পরিচালনা বাংলাদেশই করবে।

পড়ুন>>বুয়েটের আন্দোলনে ছাত্রদল-শিবির সক্রিয়

ভারতকে ফেনী নদীর পানি দেওয়া নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও যে তারা (ভারত) পানি নেয় না, তা নয়। এতদিন সেখান থেকে পানি অবৈধ উত্তোলন হতো। এখন বরং সেটিকে একটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনা হয়েছে।

এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ টন এলপিজি আমদানি হয়। বাল্কে আমদানি হয় যেগুলো সেগুলো আমাদের দেশে বেসরকারিভাবে কয়েকটি প্ল্যান্ট বোতলজাত করে এবং সারাদেশে বিতরণ করা হয়। আরেকটি মাধ্যমে হচ্ছে আমরা যে ক্রুডওয়েল আমদানি করি সেগুলো চট্টগ্রামে পরিশোধন করে উপজাত হিসেবে নেপতা হয় আর এলপিজি হয়।

‘আমরা যে এলপিজি আমদানি করছি। সেটাকে ভ্যালু অ্যাড করে রফতানি করবো। এটি তো আমাদের অর্থনীতির জন্য সহায়ক। আমাদের এক্সপোর্ট বাস্কেটে আরেকটি পণ্য যোগ হলো,’ যোগ করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটিকে তারা প্রথম বলল প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করার তো প্রশ্নই আসে না, কারণ আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাচুর্য নাই। সুতরাং এই বিষয়গুলো বিএনপি নেতারা বুঝেও জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই বলেই চলেছেন।  

‘খন্দকার মোশাররফ সাহেব তো সয়েল সাইন্সের অধ্যাপক ছিলেন। উনি নিশ্চয়ই বুঝেন, নাকি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরে, উনি মুর্খ হয়ে গেছেন আমি জানি না, কারণ যেভাবে কথা বলছেন মুর্খরাও এভাবে বলে না। ’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজভী সাহেবরা তো প্রতিনিয়তই বলেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুব খারাপ। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার না রিজভী সাহেবরা ডাক্তার; এটা বুঝা মুশকিল। রিজভী সাহেবদের কথায় মনে হয় উনারাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। ওনারা কিছুদিন পর পর বলেন খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব খারাপ।

তবে খালেদা জিয়ার কিছু সমস্যা আছে যেগুলো খুব পুরনো এবং সেগুলো বয়স বাড়ার কারণে হয় বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।

‘সেই পুরনো সমস্যাগুলোই খালেদা জিয়ার আছে। সেজন্য তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মতো জায়গায় রাখা হয়েছে। যেটি দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ এবং দেশের বড় বড় চিকিৎসকরা এর সঙ্গে সংযুক্ত। সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা তারা সব সময় করে আসছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।