রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ঘোষপাড়ায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল হারুনুজ্জামান হারুন, সাংবাদিক ছানালাল বকসী, নিহতের বাবা সাহাবুদ্দিন সাবু, মা শাহিনা বেগম, ভাই শাহীন, লিলি আক্তার প্রমুখ।
গৃহবধূ শারমীনকে তার স্বামী মাইদুল ইসলাম বাবু গত ৯ অক্টোবর হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে দাবি স্বজনদের। তাদের পরিবারে শিশির নামে ৪ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে মাইদুল ইসলাম বাবু পলাতক রয়েছেন। এনিয়ে মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভালবেসে শারমীনকে বিয়ে করেন একই পাড়ার মোহাম্মদ আলীর (প্রাক্তন নাজির) ছেলে মাইদুল ইসলাম বাবু (৩০)। মাইদুল ইসলাম বাবু পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। শারমীন আক্তার বাড়ির পাশেই একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার দিন একটি বেসরকারি এনজিও থেকে কিস্তি বাবদ ঋণ পাওয়ার কথা ছিল শারমীনের। তার আসতে দেরি হওয়ায় মাঠকর্মীর পরামর্শে শারমীনকে ডাকতে যান মা শাহিনা আক্তার। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন বাহিরের ও ভেতরের ঘরের দরজা খোলা এবং চার বছরের ছেলের চিৎকার করে কাঁদছে। ঘরে ঢুকে অন্ধকার মেঝেতে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পায় তার মা।
ছোট শিশু শিশির জানায়, তার বাবা মাকে মেরেছে। তারপর থেকে কোনো কথা বলছে না মা।
শারমীনের মা শাহিনা আক্তার দাবি করেন, নেশাগ্রস্ত জামাই মেয়েকে হত্যা করেছে। তার সঙ্গে আরও কেউ থাকতে পারে। তিনি মেয়ের হত্যাকারীর দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমাদের হাতে এখনো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসেনি। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এফইএস/এএটি