সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিরাই থানার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এমনই ইঙ্গিত দেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে দিরাইয়ের রাজনগর ইউনিয়নের খেজাউড়া গ্রামে গাছের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় তুহিনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর পরিবারের লোকজন কিছুই জানে না বলে দাবি করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সবকিছুর আলামত সংগ্রহ করে। দুপুরে তুহিনের পরিবারের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দিরাই থানায় নিয়ে আসে। তারা হলেন- তুহিনের চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, তুহিনের মা খাইরুননেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।
মিজানুর রহমান বলেন, তাদের দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন। সন্দেহ করা হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে। আরও অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব কিছু বের করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
সূত্রে জানা যায়, তুহিনের পেটে যে দু’টি ছুরি বিদ্ধ ছিল, তার বাটে কলম দিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ছালাতুল ও সোলেমানের নাম লেখা দেখা যায়। এ দু’জন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের প্রতিপক্ষ সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক বলে পরিচিত।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরির মধ্যে কীভাবে নাম লেখা হয়েছে বা কারা এটি সাজিয়েছে তা-ও তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত শেষ হলে সাংবাদিকদের সবকিছু বলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯/আপডেট ২১২১ ঘণ্টা
এনটি/এইচএ/