ক্লাবের সদস্যদের মধ্য থেকে বিগত ৩ বছরে প্রকাশিত বাছায় করা বই নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবের মিলনায়তনে এ প্রকশনা উৎসব যজ্ঞে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এক মঞ্চে আজ যে ৯৩টি বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠিত হলো, আমার মনে হয় এটিই বাংলাদেশের সব থেকে বড় প্রকাশনা উৎসব। এখানে যারা বই লিখেছেন, তারা প্রত্যেকেই ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা। তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বইয়ের মান নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কোনো প্রকার সংশয় থাকার কথা নয়। আগামীতে এই বইগুলো নিয়ে আলোচনার আয়োজন করলে সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।
এসময় ক্যাসিনো ও পরিবহন সেক্টরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবহন সেক্টরে প্রতিদিন যে পরিমাণ চাঁদা ওঠে, তা ক্যাসিনো ব্যবসার থেকে কম নয়। এটিকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে সরকার দুটোকে নির্মূলের জন্যই বদ্ধ পরিকর।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও ক্লাব চেয়ারম্যান মো.শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অফিসার্স ক্লাবের লাইব্রেরি উপকমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. ফেরদৌসি খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন খান।
বক্তারা বলেন, ক্লাবের লাইবেরির সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এই আয়োজন। আমরা আশাকরি এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ক্লাবের সদস্যরা আরও উৎসাহিত হবেন।
আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, প্রবন্ধ, স্মৃতুকথা, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, ভ্রমণ, জীবনী, শিশুতোষ, স্বাস্থ্য এবং বিবিধ ক্যাটাগরিতে মোট ৯৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এসব বইয়ের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খাইরুল হকের 'নির্বাচিত বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকার', হুমায়ন কবীরের 'জীবন যেখানে যেমন', কবি কামাল চৌধুরীর 'অন্যমনস্ক অনুপ্রাস', আলম তালুকদারের 'দশ ফালি রোদ', রবীন্দ্র গোপের 'জীবনের সমুদ্র সময় থেকে', আদিত্য অনিকের 'ছন্দা ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ', মো. মনজুরুর রহমানের 'বাংলা একাডেমির ঐতিহাসিক অভিধান' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এইচএমএস/আরএ