মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ও সকালে এ সব ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
খুলনা: সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকালে র্যাবের একটি দল নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় দস্যু আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা এবং কিছু তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, স্থানীয় দু’জেলে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দস্যু বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিককে শনাক্ত করেছেন। মরদেহগুলো কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
হবিগঞ্জ: ভোরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কুদরত আলী (৪০) নামে এক ডাকাত হয়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, কুদরতসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী পুরাসুন্ধা বাঁশ বাগান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মানিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই ডাকাত কুদরত মারা যান।
বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ও মোজাম্মেল হক এবং কনস্টেবল রনি ও জয়নুল হক আহত হয়েছেন। তারা হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত কুদরতের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন বলেও জানান ওসি মোজাম্মেল।
লক্ষ্মীপুর: ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বকুলতলা এলাকা দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিবিনিময়কালে ইলিয়াস (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রাতে উপজেলার বকুলতলা এলাকায় গুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল যান। এ সময় ওই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দু্ই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিবিনিময়কালে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আবুল কালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
আরআইএস