ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
শিশু তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশ পাদদেশে ‘সন্ত্রাস ও আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র ঐক্য’র ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুহিন হত্যার দায় এ সমাজের।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি খুনি, ধর্ষক তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করছে। তবে শুধু হত্যার বিচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। যাতে করে আর কোনো আবরার ফাহাদ অথবা তুহিনকে হারাতে না হয়।

মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘যেই সমাজ খুনি, ধর্ষক তৈরি করে আমরা সেই সমাজের পরিবর্তন চাই। আমরা দেখেছি বুয়েটছাত্র ফাহাদকে যারা হত্যা করেছে তারা স্বীকার করেছে এ সমাজ তাদের খুনি বানিয়েছে। তাই আমরা এ সব খুনিদের বিচার ও সমাজ পরিবর্তন করতে চাই। যাতে নতুন করে আর কোনো খুনি তৈরি না হয়। ’

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, এ সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা, সরকার একের পর এক খুনি তৈরি করে যাচ্ছে। শুধু বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ খুনিকে উৎসাহী করে না। পাশাপাশি যখন এ যে মানুষগুলো হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং নিজে অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকবে তখনই এ সব খুন, ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। গত পাঁচ বছরে যতগুলো খুন, ধর্ষণ হয়েছে তার দায় এ সরকারকে নিতে হবে। ’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, ‘হত্যা, ধর্ষণ আর দুর্নীতি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি খুনি তৈরি করার জন্য? দুর্নীতিবাজ উপাচার্য পাওয়ার জন্য। আমরা দেখি খুনিরা খুন করে উল্লাস করছে। জোবায়ের, রাজনসহ সব হত্যাকাণ্ডের যদি ঠিকমত বিচার হতো তাহলে আমাদের বুয়েটছাত্র ফাহাদ আর তুহিনকে হারাতে হতো না। ফাঁসির আসামিকে মুক্ত করে দেশের বাইরে পুনর্বাসন করেন আপনারা। যদি এইটা করতে থাকেন তাহলে সমাজের পরিবর্তন আসবে না। ’

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের খেজাউড়া গ্রামে গাছের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় তুহিনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কাটা ছিল। এছাড়া পেটে দু’টি ছুরি বিদ্ধ অবস্থায় ছিল। তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।