তিনি বলেছেন, শ্রমিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে শ্রমিক অধিকারকে আমাদের দেশে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া য়ায়, সে বিষয়ে তারা আলোচনা করতে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটা উন্নয়নের রোল মডেল। তারা মানবাধিকার এবং শ্রমিক অধিকার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এছাড়া এ দুই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে এর আগে যতগুলো কমিটমেন্ট আমি করেছি, সেগুলো রেখেছি। আজকে বাস্তবতা তারা স্বীকার করেছে। এখন আমরা এ বিষয়ে কীভাবে আরও অগ্রগতি করতে পারি, সেজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনা করতে চায়। শ্রমিক অধিকার আমাদের দেশে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়, সে জন্য তারা আলাপ-আলোচনা করতে এসেছেন। এ জন্য ইইউ কী চায় আমরা সেটাও জানতে চেয়েছি। আমরা কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি আর বাস্তবায়ন করেছি, সেটাও জানাবো। এরপর কোথাও মতৈক্য থাকলে সেটাও আমরা বুঝতে পারব। আর যেখানে মতপার্থক্য হবে, সেটা কেন হলো আমরা বিশ্লেষণ করতে পারব।
তিনি বলেন, ইইউকে জানিয়েছি মানবাধিকার নিয়ে আমরা অত্যন্ত সচেতন। এটা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। সে দায়িত্ব সরকার পুরোপুরিভাবে পালন করছে। উদাহরণ হিসেবে আমি বলেছি, নুসরাত হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে জনগণের দাবি ছিল এবং সরকারেরও অঙ্গীকার ছিল। এ মামলায় আইনের সব বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন শেষ করে এনেছি। এর ফলে বিচারিক আদালতে ২৪ অক্টোবর মামলাটি রায় হবে।
আনিসুল হক এও বলেন, রিসা হত্যা ও ফাহাদ হত্যার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়েও আমি বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
জিসিজি/টিএ