ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হকার পুনর্বাসন

সিটি করপোরেশনকে দুষলেন মন্নুজান-কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
সিটি করপোরেশনকে দুষলেন মন্নুজান-কামরুল হকার্স লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: হকার পুনর্বাসন না হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে দুষলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তারা বলেছেন, হকারদের পুর্নবাসন করে তারপর উচ্ছেদ করার জন্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু, হকারদের নামে তৈরি মার্কেটগুলোতে হকারদের বদলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যদের বরাদ্দ দিচ্ছে সিটি করপোরেশন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়াসহ বহু এলাকায় কত যে দালান হলো, তার ইয়ত্তা নেই।

রেলের জায়গাও দেওয়া হয়েছিল হকারদের জন্য। কিন্তু, তাদের পুর্নবাসন এখনও হয়নি। এটা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। সরকারপ্রধান সিটি করপোরেশনকে কয়েকবার নির্দেশ দিয়েছেন, হকারদের পুর্নবাসনের জন্য যা যা করা দরকার তা করতে। এরপর দেখা যায়, অনেকগুলো হকার্স মার্কেট তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এখনও হকাররা পুনর্বাসিত হয়নি। তাহলে এ মার্কেটগুলো বরাদ্দ পেয়েছে কারা? পুনর্বাসিত হলো কারা?

হকার নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ আপনাদের সংগঠনের ২০ বছর পূরণ হয়েছে। এসময়কালে অনেকগুলো মার্কেট তৈরি হয়েছে। সেসময় আপনার কোথায় ছিলেন? কী করেছেন? নেতাগিরি করতে গিয়ে দু’টি দোকান বরাদ্দ পেয়ে খুশি হয়ে বসে ছিলেন নিশ্চয়!

এসময় হকারদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের হকাররা সেধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন না। যেভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হয়, এভাবে উচ্ছেদ না করে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে হবে। সিটি করপোরেশনের মার্কেটে হকারদের বরাদ্দ পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করে বড় অংকের টাকা দিয়ে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার কারণে হকাররা দোকান বরাদ্দ পান না। তাছাড়া, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বড় উৎকোচ দিয়ে দোকান বরাদ্দ নিচ্ছে অনেকে। স্থায়ী পুনর্বাসন ও হলিডে মার্কেট পাওয়া হকারদের অধিকার। এ দাবির প্রতি আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় হর্কাস লীগের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, শাহদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ, ঢাকা মহানগরের সভাপতি জামাল হোসেন নূর, সাধারণ সম্পাদক গাজী আফজাল হোসেন প্রমুখ।

সভায় হকার নেতারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে হকারদের আইডি কার্ড দেওয়া, নির্দিষ্ট স্থানে হর্কাস মার্কেট নির্মাণ ও হকারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য চাকরি দেওয়া, হলিডে মার্কেট তৈরি এবং ঢাকা মহানগরের সব হকারদের এক করে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে সরকারি ডিসিআরের মাধ্যমে ট্যাক্স আদায় করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
ডিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।