বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক মো. ইউসুফ।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে রোববার সকাল ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে৷
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘুষের টাকা লেনদেন করতে বজলুর রশীদ নিজের ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে মোবাইল ফোনের সিম কেনেন। সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে ঘুষ চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি টাকার আদান-প্রদান করতেন। এর মধ্যে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা কুরিয়ার করার ২৪টি রশিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের অভিযোগপত্রে।
জানা যায়, কারা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী, স্টোরকিপার, দর্জি মাস্টার, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ঘুষ লেনদেনে ডিআইজি প্রিজন ও তার স্ত্রী জড়িত। একই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গাজীপুর জেলা কারাগারের কর্মকর্তা নেসার আলমকেও তলব করা হয়েছে। তবে তিনি হাজির হননি।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখত সাংবাদিকদের বলেন, বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায়ের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছিল৷ সেটির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সিদ্ধেশ্বরীতে রূপায়ন হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় বাবদ তিনি তিন কোটি আট লাখ টাকা প্রদান করেছেন। তবে এ তথ্য তার আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ নেই৷ একই সঙ্গে অর্থের উৎসও তিনি দেখাতে পারেননি৷
‘এর প্রেক্ষিতে দুদক আইন-২০০৪’র ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
এছাড়া বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ডিএন/এসএ