বাবা আব্দুল বাছিরকে পাঁচ দিন ও দুই চাচাকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় সুনামগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বাংলানিউজকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মোছাব্বির ও জমশেদ আলীকে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তার বাবার পাঁচ দিন এবং দুই চাচাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আবারও রিমান্ডে আনা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার আব্দুল বাছির ও দুই চাচাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে মঙ্গলবার নিহতের আরেক চাচা নাসির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে বাবা, চাচা, চাচি, চাচাতো বোন, ও চাচাতো ভাইকে আটক করে পুলিশ। পরে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাচি ও চাচাতো বোনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর দিন শিশু তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় তুহিনের বাবাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
আরএ