বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে খালেদা আক্তার লাকি (৪৫) নামে ওই নারীকে আটক করেন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান সাভার থানার ডিউটি অফিসার পারভীন।
নূর মোহাম্মদ খান বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাকিকে আটক করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা সেলিমের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ওই নারীর এভাবে গাছ কেটে ফেলার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারও সঙ্গে বিবাদের জের এভাবে গাছের ওপর প্রকাশ করায় অনেকে লাকির কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
সুমাইয়া হাবিব নামের ভুক্তভোগী নারীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, লাকি দা হাতে সুমাইয়ার মায়ের তৈরি করা ছাদবাগানের সব গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছেন। তিনি কেঁদে-কেটে চললেও থামছিলেন না লাকি। এমনকি একপর্যায়ে সুমাইয়াকে দা দিয়ে আঘাত করতেও উদ্যত হন লাকি।
সুমাইয়া তার পোস্টে বলেন, ‘আমার মা গাছ অনেক পছন্দ করে, তাই ছাদের এক কোণায় আমরা কিছু গাছ লাগাইছিলাম। আর এই নারী আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করে আমাদের লাগানো গাছগুলা কেটে ফেলল। এই বিল্ডিংয়ে আমরা ২টা ফ্লাট কিনেছি। সবাই যার যার ক্রয়কৃত ফ্লাটে থাকে। ’
‘ছাদে সবারই অধিকার আছে। আমরা আমাদের অধিকার থেকে কিছু গাছ লাগিয়েছি ছাদের একটা কোণায়। কারণ আমরা ভাবতেও পারিনি গাছ মানুষ অপছন্দ করতে পারে। গাছ তো সৌন্দর্য বাড়ায়। আর তারা বলে আসছে আমাদের গাছ নাকি ছাদের পরিবেশ নষ্ট করে দিছে। তারা অকারণে অন্যায়ভাবে আমাদের জীবন্ত এবং ফল ধরন্ত গাছগুলি কেটে ফেললো। আবার তার ছেলে কিছু ১০/১২ জন মাস্তান নিয়ে আসছে আমাদের ওপর হামলা করার জন্য। আমাদের একটাই অপরাধ আমরা গাছ ভালোবাসি। তাই শখ করে গাছ লাগিয়েছিলাম। আমরা তো অন্যের জায়গায় গাছ লাগাই নাই। ’
সুমাইয়ার ভিডিও পোস্টের পর লাকির ছেলে লিখন ফেসবুক লাইভে এসে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এক মাস আগে গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু তিনি গাছ গুলো কাটছিলেন না। এগুলো তার পারসোনাল গাছ। শাকসবজি, তরকারির গাছ। এগুলো তো ফুল গাছ না। ফুল গাছ হলে কথা ছিল। আপনারা ভিডিও দেখে জাজ করতেছেন। ভিডিওর আগে-পরে কিছু না জেনে আমাকে আর আমার আম্মুকে গালিগালাজ করছেন- এটা ঠিক হচ্ছে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এইচএ/