আইনজীবীরা বলছেন, এত দ্রুত সময়ে কোনো রায় নিষ্পত্তি হওয়ার নজির বাংলাদেশে নেই।
সকাল ৯টার দিকে এ ব্যাপারে মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন বলেই এত দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
>>>নুসরাত হত্যার রায়: দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তিতে নজির স্থাপন!
নোমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পরিবারের পাশে ছিলেন বলেই আমরা এখনো টিকে আছি। তিনি নিজে আমাদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বোন হত্যার বিচারের দায়িত্ব তিনি নিজে নিয়েছেন। তার আন্তরিকতার কারণেই সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। আমাদের পুরো পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
>>>খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান নুসরাতের স্বজনরা
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাবো রায় যেমনিভাবে দ্রুত সময়ে হচ্ছে, তেমনিভাবে কার্যকরটাও যেন দ্রুত হয়।
চলিত বছরের ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যাওয়ার পর ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন নুসরাতের পরিবার। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীরা রেহাই পাবে না।
>>>নুসরাত হত্যা-মামলার আদ্যোপান্ত
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকারীদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে নুসরাত এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
নুসরাতের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। তখন প্রধানমন্ত্রী তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
একইদিন, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী নুসরাতের বড় ভাই নোমানকে ওই ব্যাংকে চাকরি দেন। প্রধানমন্ত্রী সে নিয়োগপত্র নিজ হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এসএইচপি/এনটি