ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঝিনাইদহে ঐহিত্যবাহী ‘ঝাপান খেলা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ঝিনাইদহে ঐহিত্যবাহী ‘ঝাপান খেলা’

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপখেলা ‘ঝাপান’। সাপুড়েদের ইশারায় সাপের নানা অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা উপস্থিত থেকে উপভোগ করে এ খেলা। 

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে জেলা সদর উপজেলার পোড়াহাটি বাদামতলা বাজারে এ খেলার আয়োজন করে বাজার কমিটি।  

খেলাকে ঘিরে এখানে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ।

ছয় সাপুড়ে দলের অর্ধশতাধিক সাপের মধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে প্রতিটি সাপ প্রদর্শন করে নিজেদের আকর্ষণীয় কসরত। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। মানুষকে এ আনন্দ দেওয়াটাই যেন সাপুড়েদের মূল উদ্দেশ্যে।

খেলাটির আয়োজকরা বাংলানিউজকে বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐহিত্যবাহী এ খেলা ধরে রাখতেই করা হয় এর আয়োজন। বাদ্যের তালে সাপুড়েকে নিজে নাচতে হয় আর সঙ্গে ফনা তুলে সাপও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে।  

পোড়াহাটি এলাকার রাশেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে সব বয়সী মানুষ উপস্থিত থেকে উপভোগ করেছে বিষধর সাপের ‘ঝাপান খেলা’। খেলাকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যে এত মনোমুগ্ধকর তা ‘ঝাপান খেলা’ না দেখলে বোঝা যাবে না।
বিষধর সাপের ‘ঝাপান খেলা’।  ছবি: বাংলানিউজ
শৈলকুপা থেকে আসা লিটন সাপুড়ে বাংলানিউজকে বলেন, সাপের ‘ঝাপান খেলা’ মূলত আমাদের পেশা নয়। আমরা মানুষকে আনন্দ দেই এবং এর থেকে আনন্দ পাই। এজন্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে এ খেলা দেখাই।

আয়োজক বাদামতলা বাজার কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শওকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐহিত্যবাহী এ খেলা দিন-দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আর এলাকার মানুষকে একটু আনন্দ দিতেই এ আয়োজন করা হয়। খেলায় সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয় শৈলকুপা উপজেলার ভাটই এলাকার সোহেল সাপুড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।