রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।
মঈনুল ইসলাম ছাড়াও নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন রিয়াদ মোল্লা (৩২), হালিম শেখ (৩১) ও মো. আজগর আলী (৩৫)।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ক্রয়সূত্রে আশুলিয়ার বাইপাইল মৌজার আরএস-২২০ ও ৮৩২ দাগের মোট ৩৯ শতাংশ জমির মালিক আলমগীর খাঁন। তিনি ৬৮টি দোকান নির্মাণ করে কাঁচামালের আড়ৎদারদের ভাড়া দেন। এই মার্কেটটি জবর-দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করছেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ নিয়ে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন তিনি। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে নিয়ে মার্কেটের ২২টি আড়তে হামলা করে প্রায় ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করেন ও ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে, দোকান মালিক হিসেবে থানায় মামলা দায়ের করেন আলমগীর খাঁন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ডিউটি অফিসার কল্পনা আক্তার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ২২ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এর ছয়দিন পর আবার তার বিরুদ্ধে লুটপাট ও জমি দখল চেষ্টার মামলা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
একে