সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে তিথীর বড় ভাই আনন্দ ঘোষ বাদী হয়ে বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তিথী বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুসুম্বি গ্রামের গোবিন্দ ঘোষের মেয়ে।
মামলায় বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল পালপাড়ার বিনয় পাল ও তার ছেলে বিমল চন্দ্র পালসহ আট জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সুপ্রিয়া রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিথী মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজের ছাত্রী ছিলেন। গত ১০ মার্চ বগুড়া নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বী রীতি অনুযায়ী তিথীকে বিয়ে করেন বিমল। পরে তিথির কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিথীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বড় ভাই আনন্দ ও বোন প্রীতিকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়ার গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের কাছে বিচার দাবি করেন তিথী। সালিশে না গিয়ে লোক মারফত বিমল জানিয়ে দেন পাঁচ লাখ টাকা না দিলে তিনি তিথীর সঙ্গে সংসার করবেন না।
পরে তিথীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে সহ্য করতে না পেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নাটাই কৃষ্ণপাড়ায় ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিথী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
কেইউএ/কেএসডি/আরআইএস/