সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর রাজপাড়া থানার ঠিকাদার মো. সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক, দরপত্র কমিটির সদস্যদের, সরকার ও ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আহ্বানের পর ঠিকাদার সুমন অন্যদের সঙ্গে দরপত্র জমা দেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর সবার সামনে দরপত্র বাক্স খোলা হয়। তাতে দেখা যায়, রোগীদের মুরগির মাংস সরবরাহে অন্যরা যে দর উল্লেখ করেছেন, এরচেয়ে কম দর দিয়েছেন সুমন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। পরে শফিকুল নামে অন্য এক ঠিকাদারকে কাজটি দিয়ে দেওয়া। সুমন ২১৩ টাকা দর দিলেও ২১৪ টাকায় শফিকুলকে কাজটি দেওয়া হয়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারির কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও বেশি দরে অন্যকে কাজটি দেওয়ায় বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া সরকারও লোকসানের মুখে পড়েছে।
এ কারণে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এছাড়া আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের কোনো প্রতিনিধি এই দরপত্র প্রক্রিয়ায় থাকতে পারেন না। কিন্তু নিয়ম ভেঙে সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের একজন প্রকৌশলীকে রাখা হয়েছে এখানে।
তবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও আদালতের কাগজপত্র পাইনি। পেলে বাদী কী অভিযোগ করেছেন, সেটি দেখা যাবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএস/টিএ