মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি একেএম মিজান উর রশিদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, অর্থনৈতিক কাঠামোর মৌলিক স্তম্ভ হচ্ছে দেশের ব্যাংকিংখাত এবং পুঁজিবাজার। বর্তমানে এই দুইখাতই চরম হতাশার মধ্য দিয়ে চলছে।
বিগত নয় বছর ধরে আমরা পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর গত ১৮ জুলাই স্মারকলিপি পেশ করার পরও বাজারে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরে আসেনি। তাই আমরা বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারের দরপতন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ২১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আইপিও অনুমোদনের আগে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে, শেয়ারবাজারে যারা দুর্নীতি করেছেন তাদেরকে শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনতে হবে, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শেয়ারবাজার লুণ্ঠন করেছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে, বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন ও কমিশনার হেলালুদ্দীন নিজামীসহ সব কমিশনারের অপসারণ করে মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন পুনর্গঠনের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস