মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অবশ্যই লোকমানের বিরুদ্ধে অ্যাকশন হওয়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের গঠনতন্ত্র ও আইসিসির নিয়মকানুন মেনে চলে। যেহেতু লোকমান ভূঁইয়া ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ছিল, আমার মনে হয় এখনো তাকে রেখা দেওয়া মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। পরবর্তীতে যদি তিনি আইনগতভাবে নিদোর্ষ প্রমাণিত হন, তখন আবারো তাকে পুনর্বহাল করা যায় কিনা তা দেখা যাবে। কিন্তু এখন যেহেতু তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো বিতর্ক ও টাকা পাচারের অভিযোগ আছে, সেক্ষেত্রে নীতিগতভাবে তাকে এ পদে বহাল রাখা অনুচিত বলে আমার মনে হয়। এ ব্যাপারে বিসিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
আসন্ন ভারত সফরে সাকিবের থাকা না থাকা নিয়ে চলমান দোলাচল অ তার বিরুদ্ধে আইসিসির সম্ভাব্য শাস্তির প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলোয়াররা এ দেশের সস্পদ, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা অবশ্যই তাদের পাশে আছি। যদি খেলোয়াড়রা কোনো অন্যায় করে থাকে তাদের যেন অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া না হয়, সেটার ব্যাপারে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করবো। আমি ক্রিকেট বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন সার্বক্ষণিক আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত বিষয়টির সুরাহা করে।
সাকিবকে ফাঁসানো হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হাসান বলেন, আমার ধারণা এমন কিছু নয়। বোর্ড সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সাকিব বিষয়টি হালকাভাবে নেন। তিনি ভেবেছিলেন এটি এতো দূর গড়াবে না। আমরা বলতে চাই, এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই আসুক আমরা সাকিবের পাশে থাকবো। তাকে কীভাবে এর থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হবে। যেহেতু এটি অ্যান্টি করাপশন ইস্যু, এটি আইসিসির বিষয়, এতে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
‘সাকিবের এ বিষয়টির কারণে দল ঘোষণা পিছিয়ে গেছে। কারণ সাবিক থাকলে দল একরকম হবে, না থাকলে দল আরেক রকম। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে ভারত সফর নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তবে আমার মনে হয় দ্রুত এটা কেটে যাবে। ’
ক্রীড়াঙ্গণ নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সামগ্রিক বিষয় কাজ করছে। আমার কাছে কেন জানি একটু ধোয়াশা লাগছে সব কিছু মিলিয়ে। আশা করছি দ্রুত এসব কেটে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে