ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে দক্ষিণাঞ্চলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে দক্ষিণাঞ্চলে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

ঢাকা: দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটে ২০২৩ সাল থেকেই ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। রূপপুরের মতো দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

চলতি বছর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা জানান।

যে এলাকায় জনবসতি কম, সেখানেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রাথমিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের আটটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে, যার একটিতে নির্মিত হবে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আরও যে কয়টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পক্ষিখারচর, বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্টারচর ও  নিদ্রারচর, আমতলী উপজেলার আলিখাঁরচর, পাথরঘাটা উপজেলার টেংরারচর, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চরহালিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বয়ারচর ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মহুরিরচর। স্থান নির্বাচনে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দেশে চারটি মেরিন অ্যাকাডেমি স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তবে, এ প্রকল্পটি ব্যয় না বাড়িয়ে শুধু মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বিভাগে একটি করে মেরিন অ্যাকাডেমি করা হবে। বেসরকারি মেরিন অ্যাকাডেমি যেন শিক্ষার মান বজায় রাখে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

গাছ মানুষের বন্ধু ও পরিবেশের অন্যতম প্রধান উপকরণ হলেও সব গাছই উপকারি বা পরিবেশবান্ধব নয়। মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে রাক্ষুসি গাছ ইউক্যালিপটাস। এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই গাছ প্রচুর পানি শোষণ করে। উত্তরবঙ্গে ইউক্যালিপটাস প্রচুর দেখা যায়। দেশে এই গাছ কমাতে হবে। মানুষকেও নিরুৎসাহিত করতে হবে ইউক্যালিপটাসের বিষয়ে।

সভায় অনুমোদন দেওয়া ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জনশুমারি ‍ও গৃহগণনা প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।