আটক ব্যক্তিরা হলেন- বিধান চন্দ্র দাশ (৪৪), তার স্ত্রী স্বপ্না বালা দাশ (৩৫) এবং ছেলে নিলয় চন্দ্র দাশ (১৩)। তারা ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট জেলার ধনশিবি মহকুমার চুঙাজান থানার কিয়াজু গাও এর বাসিন্দা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠালে আদালত স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে জেলহাজতে ও ছেলেকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন সত্যনগর গ্রাম থেকে বিজিবির সুবার বাজার সীমান্ত ফাঁড়ির জোয়ানরা তাদের আটক করে। পরে বুধবার বিজিবির সুবার বাজার সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েব সুবেদার কমলেশ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ১৯৫২ সলের ‘দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট’ এর ৪ ধারায় পরশুরাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজিবির সূত্র জানায়, নারী শিশুসহ তিনজন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয় এবং তিন ভারতীয় নাগরিককে সেদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিএসএফ ওই নাগরিকদের ফেরত নিতে রাজী হয়নি। আটকের সময় তাদের কাছে ভারতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র, ইনকাম ট্যাক্সের কাগজপত্র, একটি মোবিইল ফোন এবং নগদ দুই হাজার চারশ’ টাকা পাওয়া গেছে।
আটক বিধান চন্দ্র দাশ জানান, তাদের পৈত্রিক বাড়ী নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বার থানার চর ভাটা গ্রামে। দুই ভাই ভারতের আসামে থাকেন এবং দুই ভাই বাংলাদেশে পৈত্রিক বাড়িতেই থাকেন। তারা বেড়ানোর উদ্দেশে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তবে পাসপোর্ট ও ভিসা না করে অবৈধপথে আসার কারণে তারা গ্রেফতার হয়েছেন।
ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদুজ্জামান অনুপ্রবেশের অপরাধে নারী শিশুসহ তিন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া পরশুরাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বিজিবি সদস্যদের হাতে নারী শিশুসহ তিন ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএমএস/আরএ