ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রূপনগরে দগ্ধ সিয়ামের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
রূপনগরে দগ্ধ সিয়ামের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত শরীরের পাঁচ শতাংশ পুড়ে গেছে সিয়ামের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মিরপুরের রূপনগরে গ্যাসবেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত শিশু সিয়ামের (১১) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত। মুখে পোড়া ও ইনহেলেশন বার্ন নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সে। 

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ তোফাজ্জলের চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সিয়াম। পরিবারের সঙ্গে রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় থাকত শিশুটি।

স্থানীয় অ্যাডাম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সে।  

সিয়ামের বাবা বলেন, নভেম্বরের ১৭ তারিখে শুরু হচ্ছে পিইসি পরীক্ষা। মুখমণ্ডল, বুকসহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় আগুনে ঝলসে যাওয়ায় আমার ছেলে মনে হয় পরীক্ষা দিতে পারবে।  

তিনি বলেন, রূপনগরের ওই এলাকা দিয়ে হেঁটে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় সিয়াম। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তার খোঁজ পাই।  

বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলায় চিকিৎসক তাহমিনা সাত্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন শিশু সিয়াম।  

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সিয়ামের মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। তার শরীরের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ। আপাতত হাসপাতালে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে তাকে। তবে, সে শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত।  

ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, রূপনগরের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে মোট ছয়জন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে তিনজনই হচ্ছে শিশু। মিজান নামে এক শিশুকে বুধবার অস্ত্রোপচারের পরে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া দগ্ধ অবস্থায় সিয়াম নামে এক শিশু বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। জনি নামে আরেক শিশুকে মিরপুর ডেন্টালে পাঠানো হয়েছিল। সে আবার ঢামেকে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া হাত বিচ্ছিন্ন জান্নাত, জুয়েল, গ্যাসবেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

তিনি জানান, বুধবারের ঘটনায় যারা সামান্য আহত হয়েছিলেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা আবার ফলোআপে এসেছেন চিকিৎসা নেওয়ার জন্য।

শেষ খবর পর্যন্ত, ফলোআপ চিকিৎসায় এসে মোস্তাকিম (৯) নামে আরও এক শিশু বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। তাকে নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালটিতে মোট সাতজন চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এজেডএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।