বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি আদেশের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। পরে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশের পর ব্যবস্থা নেবে কোর্ট পুলিশ।
এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাংলানিউজ সরেজমিনে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গিয়ে দেখতে পায় একটি ছেলেকে তার মা শিকল দিয়ে বেঁধে কাজে চলে গেছেন। সেখানে অস্থায়ী কয়েক দোকানি জানান, মূলত ছেলে যেন হারিয়ে না যায় বা কোথাও না যায় সেজন্যই মা এ কাজ করেন।
তারপর বাংলানিউজে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা পরে দেশের বিভিন্ন মিডিয়াতেও প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের পর শিশুটি ও তার মাকে খুঁজে উদ্ধার করে সেফহোমে পাঠাতে আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
উদ্ধার করার পর সেই মায়ের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি নিজের নাম শ্রীদেবী বলে দাবি করেন এবং সন্তানটি তার বলেও জানান। যদিও তার বাবা কে সেটি তিনি জানাতে পারেননি। ওই নারীর কথাবার্তাও কিছুটা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল।
নিজের সন্তানটি মেয়ে জানিয়ে একেক সময় তার একেক নাম বলেন তিনি। নিজে মাজারে ঘোরেন ও এদিক-সেদিক কাজ করে টাকা কামান আর সেই কাজে যাওয়ার সময় সন্তানকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন বলেন জানান শ্রীদেবী।
তিনি বলেন, মাইনসেইতো আমারে কয় বাইন্দা থুইতে যেইলেইগা আমার ছাও আরাইবোনা। আমিতো এই শিহল (শিকল) কিন্না হেরপরে বাইন্দা থুইয়া কামে যাই। আমি মাজারে থাহি, খাই। হেতির বাফের (বাবার) নাম কমুনা।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সংবাদের পর আমরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে দ্রুত বাচ্চা ও তার মাকে উদ্ধার করি। ওই নারীর কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে এবং কোনো নাম ঠিকানা না বলতে পারায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুরের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (সদর) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আদালতে সেফহোমে পাঠানোর একটি আবেদনের কপি পেয়েছি, আদালতের আদেশ এখনও হাতে পাইনি। আদেশ পেলেই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এফএম/এএ