বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর আর্মি গল্ফ ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ’-(ডিআরইই) সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আর্ল মিলার।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশে ডিআরইই’র নবম বার্ষিক আয়োজন। গত এক দশকে ডিআরইই মহড়ায় অংশ নিয়ে অর্জিত গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ যেভাবে বিদেশে বিস্তার করতে পারছে তা এ কর্মসূচির কার্যকারিতা প্রমাণ করে। একই সঙ্গে ভূমিকম্প ও অন্য বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের আগ্রহেরই প্রমাণ।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা দুর্যোগ কী পরিমাণ ভয়াবহ ও অনিশ্চিত হতে পারে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি আমাদের শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ভাবতে প্রণোদিত করে। আমাদের ডিআরইই’র অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে শিখতে, নেতৃত্ব দিতে ও অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে।
মিলার বলেন, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের সহায়তা ছাড়া এর কোনোটাই করা সম্ভব হবে না। আজকের উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিরা, যা খুবই আনন্দের। এটি এক বিস্তৃত পরিসরের সমন্বয় যাদের প্রত্যেকের রয়েছে অনন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন, আপনাদের সুপারিশগুলো ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবিলা কৌশলের মহড়া আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে। অনুগ্রহ করে আপনারা আজকের পরও ডিআরইই নেতৃত্বের সঙ্গে আপনাদের ভাবনা ও পরিকল্পনা বিনিময় করবেন যাতে আমরা এই অভিন্ন প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে পারি।
২৭ অক্টোবর রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ’-(ডিআরইই) কর্মসূচি উদ্বোধন হয়। বৃহস্পতিবার ছিল এর সমাপনী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
টিআর/এএ