বিবৃতিতে বলা হয়, উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূত্রপাত হয় শতবর্ষ পূর্বে। ১৯২০ সালে তাসখন্দে কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রবাসী কমিটি গঠন করা হয়।
দেশের অভ্যন্তরে শ্রমিক আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং গণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই উপমহাদেশে কমিউনিস্ট শক্তি বিকশিত হয়। রক্তঝরা আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা কমিউনিস্ট প্রতিনিধিরা ১৯২৫ সালে ভারতের কানপুরে পার্টির সম্মেলনের আয়োজন করে।
কমিউনিস্ট আন্দোলন ও সংগঠনের এই রক্তস্নাত বীরত্বপূর্ণ গৌরবদীপ্ত অধ্যায়ে আমাদের ভূ-খণ্ডের অগণিত কমরেডদের অমূল্য অবদান রয়েছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে, এরপর পাকিস্তানে এবং বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের এ ভূ-খণ্ডের কমিউনিস্টরা সক্রিয় থেকেছে। সেই গৌরবমণ্ডিত ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বহন করেই সিপিবি এখনো কাজ করছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পার্টির ভিতরে নানা সময়ে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় কমিউনিস্টরা এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের একটি বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলা আজ অপরিহার্য ও জরুরি হয়ে পরেছে। বিকল্প গড়ে তোলার কাজকে সম্পন্ন করার জন্য নিবেদিত ও নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট শক্তি ও কমিউনিস্টদের একত্রিত হওয়া আজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
লুটেরা বুর্জোয়া শাসনের অবসান ঘটিয়ে ‘বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প’ প্রতিষ্ঠায় ‘বাম গণতান্ত্রিক’ ঐক্য ও বিকল্প শক্তির উত্থান জরুরি হয়ে পরেছে। সেক্ষেত্রে ‘কমিউনিস্ট ঐক্য’ প্রতিষ্ঠা আজ আবশ্যিক শর্তে পরিণত হয়েছে।
তাছাড়া দেশের বর্তমান সময়কে ক্রান্তিকাল উল্লেখ করে সময়ের দাবির কথা বিবেচনা করে উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ‘কমিউনিস্ট ঐক্য’ গড়ে তোলার জন্য উদাত্ত বিপ্লবী আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
আরকেআর/এমএএম/এমএমএস