সম্প্রতি শিবগঞ্জের ২১৯ নং চরপাঁকা মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির ঘটনা।
এ ঘটনায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হককে দায়ী করেছে একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের পাঁকা ইউনিয়নের সভাপতি আল আমিন জুয়েল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ২১৯ নং চরপাঁকা মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি ভবন বরাদ্দ পেয়েছে। এ কারণে স্কুল চত্ত্বরের পুরাতন ৩ ক্লাশরুম বিশিষ্ট টিনসেড ঘর কোন নিয়ম না মেনে গোপনে টেন্ডার ছাড়াই ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন প্রধান শিক্ষক। এমনকি সে টাকাও আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জুয়েল জানান, প্রধান শিক্ষক এলাকায় কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিদ্যালয়ের ঘরগুলো বিক্রি করে সে টাকা আত্মসাত করেছে। বিক্রিকৃত ঘরটিতে অন্তত ২০ বান্ডিল টিন ছিল যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকার উপরে। বর্তমানে এটি পল্লী ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করছেন যিনি ঘরটি কিনেছেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি তিনি টেন্ডার ছাড়া কমিটির অনুমোদন নিয়ে শুধুমাত্র ৪০ হাজার টাকায় একটি টয়লেটের নষ্ট টিন বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরি রওশন ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ পাবার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এমএএম/এমএমএস