স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের (আগরপুর) ভূতের দিয়া গ্রামের কলেজ সংলগ্ন মিঞা বাড়ির নির্জন জঙ্গলে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে ছুটে যান পথচারীরা। পরে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ মহসিন সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১০ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরিদর্শক মোঃ মহসিন জানান, ওই নারীর মাথায় ৬ টির মতো ধারালো অস্ত্রের (কোপের) আঘাত রয়েছে। পাশাপাশি শরীরের আরো বেশ কিছু স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে আমরা ওই নারীর চিকিৎসা করাতে সার্বিক সহায়তা করছি।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ওই নারীকে খুবই মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সে তার নিজের পরিচয় ঠিকভাবে বলতে পারছে না। একবার শুধু গৌরনদী বলে উচ্চরণ করলেও পরে আর কিছু বলেনি। তাছাড়া নাম জানতে চাইলে বেশ কয়েকবার পুতুল উচ্চরণ করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নই আমরা।
তিনি বলেন, ‘ওই নারীর মাথায় বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো নয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন এবং সেখানে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের দু্ইজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ওই নারী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দোষীদের খুঁজে বের করা কতটা সম্ভব তা বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এমএস/এমএমএস