শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে সন্দ্বীপের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচিতে অংশ নেয় সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, উত্তরা সন্দ্বীপ সমাজ, বৃহত্তর মিরপুর সন্দীপ সমাজ, সন্দীপ হরিশপুর ইউনিয়ন নদী সিকস্তি পুনর্বাসন কমিটি, সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট ফোরাম, সোনালী মিডিয়া ফোরাম ও সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডসার্কেল অ্যাসোসিয়েশন।
মানববন্ধনে সন্দীপ ডেভলপমেন্ট ফোরাম ঢাকার সভাপতি নুরুল আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আলী হায়দার চৌধুরী, হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু, সাইদুল হক চৌধুরী, ড. সালেহা কাদের, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল কবির, আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ারুল আলম মঞ্জু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সন্দীপ একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীপ। এখানে রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য। এই দ্বীপ উপজেলার শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার মহান ৬ দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সন্দীপ থেকেই শুরু করেছিলেন।
নেতারা বলেন, ৬০টি মৌজা নিয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা গঠিত। বঙ্গোপসাগর এবং মেঘনার করাল গ্রাসে সন্দীপ ভাঙতে ভাঙতে খুব ছোট হয়ে আসে। তবে বর্তমানে সন্দ্বীপের জায়গাগুলো পুনরায় জেগে উঠেছে। ফলে সন্দ্বীপবাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। এর মধ্যে একটি চর হচ্ছে সাবেক ন্যায়মস্তি ইউনিয়ন, যা বর্তমানে ভাসানচর বা ঠেঙ্গারচর নামে পরিচিত। কিন্তু এই ভাসানচরকে নোয়াখালীর একটি থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সন্দ্বীপবাসী মনে করি ভাসানচর প্রাচীনকাল থেকেই সন্দ্বীপের একটি অংশ। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই চরকে নোয়াখালীর থানা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সন্দীপবাসীর এই ন্যায্য দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
আরকেআর/টিএ