ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বড়াইগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
বড়াইগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে হালিমা খাতুন (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (০৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার গারফা মৎস্যজীবী পাড়া গ্রামের সাতঐল বিলে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।  

রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

নিহত হালিমা খাতুন ওই গ্রামের মৎস্যজীবী মো. হাসেন আলীর মেয়ে। সে গারফা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, রোববার (০৩ নভেম্বর) রাতে হালিমা খাতুনকে স্থানীয় লাদেন আলী নামে এক যুবক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামের পাশে সাতঐল বিলের মধ্যে একটি গাছে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় হালিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কিছু মৎস্যজীবী। এসময় লাদেন আলীও গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে হালিমা আত্মহত্যা করেছে বলে চিৎকার করতে থাকে।  

পরে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

ওসি বলেন, ঘটনাস্থলের চারিদিকে পানি রয়েছে এবং হালিমার পোশাকও ভেজা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথাও হত্যার পর নৌকায় করে তাকে এখানে এনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তিনি আরও বলেন, বিকেল তিনটা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে লাদেন নামে ওই যুবক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে গাছের সঙ্গে মরদেহটি ঝুলিয়ে রেখেছিল।  

হালিমা খাতুনের বড় বোন রহিমা বেগম ও মা মোমেনা বেগম অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানান, একই গ্রামের মুসা প্রামাণিকের ছেলে লাদেন আলী গত দুই বছর ধরে হালিমাকে বিরক্ত করে আসছিল।  

রোববার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের বাড়ির সামনে বসে ছিল লাদেন। পরে হালিমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তারা মামলা করবেন বলে জানান।  

এ বিষয়ে জানতে লাদেন আলীর বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।