ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সারাদেশের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
সারাদেশের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নেতাকর্মীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন আংশিক পরিবর্তনের বিবেচনার আশ্বাসে চলমান গণপরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ধানমন্ডিস্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নিজস্ব বাসভবনে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার রুদ্ধদার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।  

বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা আইনের কিছু ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে তারা ৯ দফা দাবি প্রস্তাব করেছিলেন আমাদের কাছে। তারই ভিত্তিতে তারা কর্মবিরতিও পালন করেছেন।  

মন্ত্রী বলেন, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। যে সব দাবিগুলো সংগত সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা মেনে নিতে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি দাবি অনুসারে আইন সংশোধনের বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠাবো। এ আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়ে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করবে।

দাবিগুলো সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, যে লাইসেন্স দিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন সেগুলোর অনেকগুলো সঠিকভাবে বিআরটিএ সময়মত দিতে পারেনি। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন বা নবায়নের জন্য তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ নির্দিষ্ট সময়মত তা দিতে পারেনি। ফলে তারা সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা লাইসেন্সগুলো ঠিক করতে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। আমরা তা মেনে নিয়েছি। এখন তারা বর্তমানে যে লাইসেন্স আছে সেগুলো দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন।

আবার অনেকে গাড়ির ফিটনেস হালনাগাদ করার জন্য নিয়মমাফিক কর প্রদান করেননি। ফলে গাড়ির ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও তাদের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। তাদের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা সমাধানে বা বিআরটিএর ফিটনেস সার্টিফিকেট নবায়ন করতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত তাদের যে ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে সেগুলো দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন আইনের ১২৬টি ধারার ৯টি ধারায় তাদের আপত্তি ছিল। আইনটি ইতোমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আর যে ধারাগুলো সংশোধনের দাবি এসেছে সেগুলো বিচার বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।  

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু অসঙ্গতি আমাদেরও রয়েছে যেমন, পার্কিং এর পর্যাপ্ত জায়গা আমরা করতে পারিনি। সেগুলোই বিবেচনা করা হবে।  

এ সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষে রুস্তম আলী খান বলেন, নতুন আইন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ কারণে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।

মালিক ও শ্রমিকদের আরেক নেতা তালুকদার মোহাম্মদ মনির বলেন, আমরা কোনোভাবেই কর্মবিরতির পক্ষে না। আমাদের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ঠেকানোর উদ্দেশে আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলাম।   

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমএএম/পিএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।