সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে অধ্যাপক অজয় রায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, অজয় রায় বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনের একজন ভক্ত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, অজয় রায়ের সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল তার ছেলে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড। এ শোক তিনি সামলাতে পারেননি। তারপর থেকে তার শরীর ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় তাকে বারবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে, এটা প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছিলাম, ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার আদালতে সম্পন্ন করতে। কিন্তু সেটি হয়নি। হোলি আর্টিজান মামলায় যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ব্লগারদের মামলায় ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
এর আগে অজয় রায়ের ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় জানান, সোমবার অজয় রায়ের মরদেহ বারডেমের হিমাগারে রাখা হবে। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বেইলি রোডের বাসভবনে। সেখান থেকে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে।
অধ্যাপক অজয় রায় সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
ডিএন/আরবি/