ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি দুয়ারীপাড়া এলাকাবাসীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি দুয়ারীপাড়া এলাকাবাসীর

ঢাকা: পুনর্বাসন এর আগে উচ্ছেদ নয়, এই দাবিতে মানববন্ধন করেছে মিরপুরের দুয়ারীপাড়া ওয়াকফ এস্টেট এলাকাবাসী।

শনিবার (২১ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা এসএম আহসান উল্লাহ, জামাল হোসেন, নীলুফা বেগম, রাজা মিয়া, ইয়াসমিন আক্তার, কামরুন নাহার, রাশিদা বেগম প্রমুখ।

এলাকাবাসীর পক্ষে নীলুফা বেগম বলেন, দুয়ারীপাড়া এলাকায় আমরা ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। দেড় হাজার পরিবারের এক লাখ লোক এখানে বসবাস করছে। এলাকাবাসীর মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেক সাধারণ মানুষের পরিবার রয়েছে। ১৯৯২ সালে ৯৯ বছরের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বসবাসের জন্য দুয়াররীপাড়ার জমি লিজ নেয় এসব পরিবার। তারা বৈধভাবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ নিয়ে নিয়মিতভাবে বিল পরিশোধ করে আসছে।  

‘পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এ এলাকায় অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সে সময় এলাকাবাসী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে ওই উচ্ছেদের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এলাকাবাসী নিজ নিজ প্লটে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে থাকে। ’

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বরে নিলুফা বেগম এলাকাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেন। তখন এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকাতেই দুয়ারীপাড়াবাসীকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। তখনো হাইকোর্টের নির্দেশ বলবৎ ছিল।  

মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে রাজা মিয়া বলেন, আদালত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে জানিয়ে দেয়, আগামী ২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারীপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদের একটাই দাবি, আগে এলাকাবাসীর পুনর্বাসন করতে হবে, তারপরে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
পিএস/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।