ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াশার প্রকোপ না থাকলেও বইছে বাতাস, তাপমাত্রা ১৩.৩

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
কুয়াশার প্রকোপ না থাকলেও বইছে বাতাস, তাপমাত্রা ১৩.৩

ঢাকা: এবার পৌষের শুরু থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। যার ফলে নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজধানীসহ পুরো দেশবাসীর। ইতোমধ্যে বিগত বছরের রেকর্ডকেও ছাড়িয়েছে শীত।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কুয়াশার তেমন প্রকোপ না থাকলেও হিমেল বাতাস বইছে রাজধানী শহর ঢাকায়। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩।

আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চলমান অবস্থা আগামী দু’একদিন থাকবে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে শুরু করলে ঠাণ্ডা কিছুটা কমবে। এছাড়া আশা করি আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই সূর্যের দেখা মিলবে।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপারে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী দু’একদিন পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে ধীরে ধীরে এটি কাটবে বলে আশা করছি।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবার শীতের এই ধারাবাহিকতা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত শীত পড়বে।

শীত, কুয়াশা কিংবা বাতাস, যাই থাকুক না কেন, কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে রাজধানীর সাধারণ মানুষকে। এমনই একজন জোবায়ের। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশা তেমন না থাকলেও বাতাস আছে। যে কারণে ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আশা করি বেলা বাড়লে সূর্যের দেখা মিলবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। যা চলে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত। এই শীতের মধ্যেই বৃষ্টি এসে ঠাণ্ডা বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।

এছাড়া এই শীতে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে কোনোমতে স্টেশনে কিংবা পথের ধারে যাদের রাত কাটে, সেইসব ছিন্নমূল মানুষ। পাতলা চাদর কিংবা কম্বল দিয়েই তাদের রাত কাটছে। আবার একটি চাদর দিয়েই কয়েকজন মিলে শীত নিবারণের চেষ্টা তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।