বুধবার (০১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার আড়ুয়াকান্দি এলাকার শহিদুল্লাহ ও রহিম মিয়া বাদশার তিন একর আয়তনের যৌথ ঘেরে এ বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা বিপুল পরিমাণ রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও চিংড়ি মাছ মরে পানির উপরে ভেসে ওঠে।
ঘেরের কর্মচারী আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, রাতে ঘেরের পাড়ের ঘরে ছিলাম। ফজরের আজানের কিছু আগে টের পেলাম মাছ লাফাচ্ছে। লাইট মেরে দেখি প্রচুর মাছ লাফাচ্ছে। বুঝতে পারলাম মাছের কোনো সমস্যা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মালিককে বিষয়টি জানাই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাছের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যায় এবং সব মাছ মারা যায়। সকাল থেকেই মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে।
প্রতিবেশি বৃদ্ধ জাফর মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল শহিদুল্লাহ’র ঘেরে। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
স্থানীয় ঘের মালিক ফোরকান মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারায় শহিদুল্লাহ’র ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে এই ঘটনার সুস্থ বিচার ও শহিদুল্লাহ’র ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আড়ুয়াকান্দি মৌজায় একটি পতিত জমি লিজ নিয়ে রিহম মিয়া বাদশাকে সঙ্গে নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। আমার এতো কষ্টের ফসল যারা নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এনটি