রোববার (২৬ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি গুচ্ছ উন্নয়ন কাজের সঙ্গে ‘শেখ রাসেল পানি শোধনাগার’ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘শেখ রাসেল পানি শোধনাগার’ নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ চাহিদার বিপরীতে সক্ষমতা ৬৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ শতাংশে উন্নীত হলো।
বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে।
এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এ পানি শোধনাগারটি। হালদা নদী থেকে পানি তুলে ৬টি ধাপে পানি পরিশোধন শেষে সরবরাহ লাইনে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করি। তারপর এ পানি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করে কী পরিমাণ কেমিক্যাল মেশাতে হবে তা ঠিক করি। ক্যামিক্যাল মেশানোর পর ৬টি ধাপে পানি শোধন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পানি শোধন শেষে সরবরাহ লাইনে দেওয়ার আগে আমরা ল্যাবে আবারও পরীক্ষা করি। এতে পানির সব মান ঠিক আছে কিনা যাচাই করা হয়। পরে তা সরবরাহ লাইনে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে পানির চাহিদা রয়েছে ৪২ কোটি লিটার। আর আমাদের সক্ষমতা রয়েছে ৩৬ কোটি লিটার।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে ১৪ কোটি, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি এবং নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সংযোগ রয়েছে এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ লোক পানি পায়। আর যে কয়েক শতাংশ লোক পানি পায় না তা পাইপ লাইনের ত্রুটির কারণে। তাছাড়া পাইপগুলো অনেক পুরনো হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রেসারে আমরা পানি সরবরাহ করতে পারি না।
‘ত্রুটিপূর্ণ পাইপলাইন অপসারণ করে নতুন সংযোগ বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি ২০২১ সালের পরে আমার চট্টগ্রামবাসীকে সম্পূর্ণ প্রেসারে পানি সরবরাহ করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এমইউএম/এএ