মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দুপুরে টেলিভিশনটির রিপোর্টিং টিমের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
এতে আহত হয়েছেন- টেলিভিশনটির প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম (৩০) এবং ক্যামেরা পারসন শেখ জালাল (২৮)।
আহত প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কাস্টমস বন্ড কমিশনের একটি অভিযানের নিউজ কাভারেজ করতে নয়াবাজারে যাই। সেখানে আমাদের ওপর বন্ডের অবৈধ সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ী ও সন্ত্রসীরা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। তারা আমাদের গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করেন। এ সময় আমার ক্যামেরা পারসন শেখ জালালও গুরুতর আহত হন। তবে গাড়ির চালক কোথায় আছে এখনো জানি না।
নিউজটোয়েন্টিফোরের প্রধান প্রতিবেদক ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নয়াবাজারে বন্ডের অবৈধ সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাস্টমসের অভিযান চলছিল। নিউজটোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার ও ক্যামেরা পারসন ওই অভিযানের নিউজ কাভারের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
‘কিন্তু বন্ডের অবৈধ সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ীরা আমাদের রিপোর্টার ও ক্যামেরা পারসনের ওপর হামলা চালায়। পাশাপাশি গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে, ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ব্যাগ। ’
গুরুতর আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ফারুক হোসেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢামেক হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে এসে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির বাংলানিউজকে জানান, কাস্টমস বন্ড কমিশনের একটা অভিযান ছিল নয়াবাজার কাগজ মার্কেট এলাকায়। এ সময় নিউজটোয়েন্টিফোরের সাংবাদিকরা গাড়ি নিয়ে জিন্দাবাহার এলাকায় নিউজ কাভারের জন্য গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তারা গাড়ি নিয়ে আরমানিটোলা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানেও তাদের ওপর হামলা করা হয়। যারা তাদের ওপর হামলা করছেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিন্দাবাহারের কাগজ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আগেও নিউজ হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা মনে করেছেন আবারো নিউজ করতে এসেছে। সে জন্যই হয়তো সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা হয়তো জানতো না কাস্টম বন্ড কমিশনের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান হবে বলেও জানান ওসি শাহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এজেডএস/আরআইএস/এমএ