ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, নববধূর খোঁজে অভিযান চলছে পদ্মায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, নববধূর খোঁজে অভিযান চলছে পদ্মায় ফিরোনি অনুষ্ঠানের জন্য নৌকায় বর-কনে পক্ষের লোকজন।

রাজশাহী:  রোববার (৮ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে রাজশাহীর পদ্মানদীতে।

শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নৌকাডুবির ঘটনার পর শনিবার (৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে ছয়জনের এবং রোববার দুপুরে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো নববধূ নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটি নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুরে অপরটি উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে রুবাইয়া আক্তার স্বর্ণার (১২) মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। জাল ফেলা হলে তার মরদেহ উঠে আসে। রুবাইয়ার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়ায়। সে কনের ফুপাতো বোন এবং অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর চারঘাটে আরও একটি মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহটি নিখোঁজ নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার খালা আঁখি খাতুনের (২৫) বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম।

আঁখি খাতুনের বাবার নাম আবুল হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। আঁখি খাতুনের স্বামীর বাড়ি মহানগরের ভাটাপাড়ায়। তার নাম আসাদুজ্জামান জনি। তিনি হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। এই নিয়ে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তবে এখনো নিখোঁজ আছেন নববধূর সুইটি খাতুন পূর্ণিমা।

নৌকাডুবির ঘটনায় এখন নিখোঁজ রয়েছেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (২০)।

এদিকে সর্বশেষ ব্যক্তিটিকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর পদ্মানদীতে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে সাতজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি দু’জনেরও আর বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাদের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজন্য আমাদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হবে না।

রাজশাহীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাসুদ জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। ছয়জনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে মরিয়ম খাতুন নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।

রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলের কাছেই জেলেদের জাল ফেলে নববধূর ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রাজশাহীর চারঘাট থেকে মনি বেগম (৩৫) নামে এক নারী, দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এখলাস হোসেন (২২) ও দুপুর আড়াইটার দিকে রতন আলী (৩০) নামে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পদ্মানদীতে ঘটনাস্থলের পাশেই এ দু’জনের মরদেহ ভেসে উঠে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে ডুবুরিরা পানির নিচ থেকে শামীম হোসেন (৩৭) ও তার মেয়ে রোশনি খাতুনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।