মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের শিশু আদালতে বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহরিয়ারের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল ও পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫), জমসেদ আলী (৬০) ও ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। এছাড়া তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি ৪ আসামির রায় দেওয়া হবে ১৬ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের শিশু আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায় বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আলোচিত তুহিন হত্যা মামলায় একজনের রায় দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আসামির বসয় ১৮ বছরের কম তাই আদালত তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন। বাকি আসামিদের রায় ১৬ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
আরএ