তিনি বলেন, এরকম ইনস্টিটিউট না করলে শিক্ষিকার বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া দেওয়া সম্ভব ছিল না। এই ইনস্টিটিউটের কারণেই বিরল একটি চিকিৎসা চিকিৎসকরা করে দেখাতে পেরেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের শিক্ষিকা ফাহিমা বেগমকে দেখতে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউটের ৪র্থ তলায় আইসিইউতে থাকা শিক্ষিকাকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রোগী ভালো আছে। তার বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া দেওয়ার পর সেখানে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক আছে। আমরা দোয়া করি ওই শিক্ষিকা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। বিরল এই সফল অস্ত্রোপচারের জন্য সেই সব চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এই ইনস্টিটিউট হওয়ার কারণেই এত বড় একটি বিরল অস্ত্রোপচার হয়েছে। দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এই ইনস্টিটিউট না হলে বিরল অস্ত্রোপচারটি হতো না। এরকম অস্ত্রোপচার আগামীতে অন্য ইনস্টিটিউটগুলোতে করতে হবে।
আরও পড়ুন>> সেই শিক্ষিকার জোড়া দেওয়া হাতে রক্ত চলাচল করছে
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম ও সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেনসহ অন্য চিকিৎসকরা।
কলেজ শাখার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন সৈয়দা ফাহিমা। পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ফাহিমার বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/