ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশ থেকে যে কেউ এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
বিদেশ থেকে যে কেউ এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে যে কেউ এলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে বলে অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৬ মার্চ) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুশাসন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যারা আসবে- সরকারি প্রোগ্রাম, ট্রেনিং বা সাধারণ লোকজন যেই আসুক তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে, এ বিষয়ে কোনো এক্সজামশন নেই, পরিষ্কার।

‘এটা ডিসি সিভিল সার্জন, এসপি, ইউএনও, মেয়র, চেয়ামারম্যান, মেম্বার, মসজিদের ইমামদের বলে দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগুলো প্রচার করবেন এবং নিশ্চিত করবেন। যদি কেউ কোথাও এর কোনো ভায়োলেশন করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

মানিকগঞ্জে একজন সৌদিফেরত বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ জাতীয় ইনফোর্স করা হবে।

তিনি বলেন, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার সোমবার দেশে ফিরেছেন, তাকে বলে দিয়েছি তুমি অবশ্যই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। এরমধ্যে কোনো অপশন নেই।

সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে কোনো অফিসার বা প্রাইভেট লোক হোক, যারাই বিদেশ থেকে আসবে, যে দেশ থেকে আসবে ১৪ দিন অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যদি তার কারণে, যেই হোক সে, কোনো কিছু ঘটে তাকে আইনানুগভাবে ফেস করতে হবে।

বিদেশি বা দেশের যে নাগরিক হোক না কেন সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা একাকী যেন বাইরে ঘুরে না বেড়ায়। তাদের ছুটি দেওয়াই হচ্ছে সেফটির জন্য। বাইরে ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একা একা যেন বাইরে না যায়, অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আরেকটা জিনিস অনুরোধ করি- মসজিদ, মাদরাসা ও পেপারের মাধ্যমে বলে দেবেন- যদি কারো জ্বর এবং সর্দি-কাশি হয় তিনি যেন কোনো পাবলিক প্লেসে না আসেন। মসজিদ বা অফিসেও না। আমরাও অফিসে বলে দিয়েছি জ্বর এবং সর্দি-কাশি থাকলে সে অফিসে আসবে না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলে দেওয়া হয়েছে জ্বর এবং সর্দি-কাশি থাকলে সে যেন মসজিদে না আসে।

ম্যাস গ্যাদারিং, প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হবে।

কোয়ারেন্টাইনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আগেই গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুরান সাব-জেলখানা কি আক্রান্তদের রাখার সিদ্ধান্ত আছে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিভিল সার্জন ওনারা লোকাল বিবেচনায় যেটা কমফোর্টেবল মনে করবেন সেখানে রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।