ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সতর্ক থাকলে মরদেহ থেকে করোনা ছড়ায় না: ফ্লোরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
সতর্ক থাকলে মরদেহ থেকে করোনা ছড়ায় না: ফ্লোরা

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে, তাদের মরদেহ সতর্কতার সঙ্গে দাফন করা হলে তা থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণের বা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের দাফন আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় করেছি। এক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করছি, কোনোভাবেই যেন সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে যদি ওই রোগীর মরদেহ গোসল করানো হয় এবং তার কাছাকাছি কেউ যান। তাই আমরা যারা কাছাকাছি যান, তাদের পিপিই পরিয়ে দিই। আবারও বলছি, সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিধান মেনে কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি এও বলেন, যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির মরদেহ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন, তাদের কয়েকজনের নমুনা আমরা পরীক্ষা করেছি। এ ধরনের কোনো সংক্রমণ পাইনি। যদিও মরদেহের কাছে গেলে অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করে। কিন্তু আমি বলব, এমন দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে ফ্লোরা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই চিকিৎসকসহ নতুন করে চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী। এ নিয়ে দেশে মোট রোগী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে। তবে এসময়ে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।

তিনি আরও বলেন, নতুন আক্রান্তদের তিনজন অন্যদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। তবে একজনের ঠিক কোথা থেকে ছড়িয়েছে, সে উৎস এখনও পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এছাড়া এই চারজনের মধ্যে একজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। অরেকজনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন। আবার ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আরেকজন।

‘এই চারজনের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছিলেন। এছাড়া চরজনের মধ্যে দুইজন ঢাকার বাইরে। আর দুইজন ঢাকার মধ্যে অবস্থান করছেন। আবার চারজনের মধ্যে দুইজনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে চারজনই এখন শারীরিকভাবে স্বাভাবিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে কোনো রকমের জটিলতা নেই। এছাড়া আমাদের আগের যারা করোনা আক্রান্ত, তাদের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে। তাদের মধ্যেও কোনো ধরনের জটিলতা নেই। ’

দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ পর্যন্ত মোট এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ২৬ জনের। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০৬ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।