বুধবার (২২ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে তাদের নমুনার পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হলে তাদের ফল পাওয়া যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই ১৭ জন চিকিৎসক ও নার্স সরাসরি করোনা আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন কোনো ধরনের সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই। তাই তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আর কেবল তারাই নয়, এদের সঙ্গে মিশেছিলেন- এমন আরও ২৫ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে তাদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে তাদের নমুনা পরীক্ষার সময় এখনও আসেনি।
এর আগে রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর করোনা শনাক্ত হয় গত সোমবার। এর আগে ওই রোগী রামেক হাসপাতালে সাধারণভাবেই চার দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন সরাসরি ওই রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া এবং এরা যাদের সঙ্গে মিশেছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এর আগে জ্বর ও প্রসাবের সমস্যার কথা বলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) আসেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) তিনি প্রথমে হাসপাতালের আউটডোর ইউনিটে চিকিৎসার জন্য আসেন। পরে হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়।
শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী তাকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে পরে তাকে এক্স-রে করানো হলে করোনার কিছু উপসর্গ দেখতে পান চিকিৎসকরা। করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ড থেকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সোমবার (২০ এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও অন্য রোগীসহ অনেকেই তার সংস্পর্শে আসেন। নমুনা পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন>> প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে ভর্তি, পরে করোনা শনাক্ত হলো রোগীর!
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এসএস/জেআইএম