বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের লরি থেকে প্রায় ১১ হাজার লিটার তেল চুরি হয়ে গেছে।
তবে, অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরবিআর) বলছে, বিষয়টি তারা নিশ্চিত নন। পাঁচ হাজার লিটার তেল চুরির সময় তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। কী পরিমাণ তেল চুরি হয়েছে তা তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
আটক তিনজন হলেন- যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, যে ট্যাংকার ট্রাকে তেল ঢোকানো হচ্ছিল তার হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেল চুরির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
রাজশাহী আরবিআরের পরিদর্শক আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ডিপোতে তেল চুরি করে ট্যাংকার ট্রাকে ঢোকানো হচ্ছিল। তখন খবর পেয়ে তারা তিনজনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, গত ২০ এপ্রিল ঈশ্বরদী থেকে ৩০ হাজার লিটার সরকারি তেল (ডিজেল) রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলায় এ তেলই চুরি হচ্ছিল।
চুরির সময় পাঁচ হাজার লিটার তেলসহ ট্যাংকার ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। আগে কী পরিমাণ তেল চুরি হয়েছে তা কেবল তদন্তের পরই বলা যাবে। চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেশ কয়েক ট্রাক তেল চুরি হয়েছে। সর্বশেষ দুপুরে এক ট্রাক তেল চুরির সময় বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি জব্দ করেন। তবে ট্রাক চালক পালিয়ে যান। কে কে এ চুরির সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান জানান, তেল চুরির ঘটনায় রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার সম্পৃক্ততাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এসএস/ওএইচ/