ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রেলওয়ের তেল চুরির ঘটনায় প্রকৌশলী গ্রেফতার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
রেলওয়ের তেল চুরির ঘটনায় প্রকৌশলী গ্রেফতার

রাজশাহী: রেলওয়ের রাজশাহী ডিপো থেকে তেল (ডিজেল) চুরির ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম আবদুল হাসান।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রেলওয়ের ডিপো থেকে তেল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনজন।

তাদেরও গ্রেফতার করে আরএনবি। তারা আটক হওয়ার পরপরই উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাজশাহী রেলস্টেশনের আরএনবির পরিদর্শক আহসান হাবিব প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোববার (২৬ এপ্রিল) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এদিকে, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট মোর্শেদ আলম বলেন, এ নিয়ে মোট চারজন গ্রেফতার হলেন। মামলার আরও তিন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই তিন আসামি হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সহকারী ম্যানেজার আশফাকুল ইসলাম, তেল ক্রেতা (মূলহোতা) রবিউল ইসলাম ও ট্রাকচালক বাবু আলী খান। এই সাতজনের নামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতেই মামলা করেছে।

তিনি বলেন, এই রবিউলই হলেন রেলওয়ের তেল চুরির অন্যতম হোতা। যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহাতায় তিনি তেল চুরি করে আসছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরেও প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লিটার তেল চুরির চেষ্টা চালানো হয়। কিছু তেল চুরি করে নিয়েও যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ের একটি ওয়াগান থেকে তেল চুরির সময় একটি ট্যাংকার ট্রাক হাতেনাতে জব্দ করেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এরা হলেন- যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্রাকের হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, তেল চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডলকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক এই কমিটি করে দিয়েছেন।

এই তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিইই) রিফাত সাকিল রুম্পা ও কমান্ড্যান্ট আরএনবি (পাকশী) রেজওয়ানুর রহমান।

কমিটির সদস্য ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যও গ্রহণ করা হচ্ছে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
এসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।